নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৪৪ অনুসারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর কাদের মির্জা তার সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মামলা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। কাদের মির্জা ও বাদলের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় তিনি এই মামলা করেন।
কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মামলার বিষয়টি জানিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনকে প্রধান আসামি করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় আরও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয় শ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।’
রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্বঘোষিত সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন কাদের মির্জা।
শুক্রবার সংঘর্ষে আহত হয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীও। ফাইল ছবি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শনিবার সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ দল থেকে আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করে। সুপারিশ করা ওই চিঠি গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে ‘উপরের নির্দেশে’ কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আওয়ামী লীগ। এরপরই মামলাটি হয়েছে।
ওসি জানান, চাপরাশিরহাটের ওই ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারীদের পক্ষ থেকেও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মামলার পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে পূর্বঘোষিত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কোম্পানীগঞ্জে।
ফেসবুক লাইভে এসে ও পোস্ট করে কাদের মির্জা বলেন, ‘নোয়াখালীর রাজনীতির চলমান সংকট নিরসনে তাদের সকলের আস্থার শেষ ঠিকানা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আমাদের ঘোষিত সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম।
‘আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের হস্তক্ষেপে সকল সমস্যার সমাধান অতিশীঘ্রই হবে।’
সংঘর্ষে আহত এক জনকে নেয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ফাইল ছবি
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন।
ওই সময়ে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যম কর্মীসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও অন্তত ৪০ জন আহত হন।